স্বদেশ ডেস্ক:
দুই ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ২৪ রান। শোয়েব মালিক ফিরে গেলে ক্রিজে আসেন নতুন ব্যাটসম্যান আসিফ আলী। অন্যপ্রান্তে থাকা শাদাব খানের সঙ্গে প্রান্ত বদল না করে নিজেই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফিস। বল করতে আসা করিম জানাতকে এক ওভারেই চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন এই ব্যাটসম্যান। টানা তিন জয়ে সেমি-ফাইনালের দিকে এক পা দিয়ে রাখলো পাকিস্তান।
আজ শুক্রবার রাতে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচটি পাঁচ উইকেট হাতে রেখে জয়লাভ করে পাকিস্তান। ব্যাট হাতে ৭ বলে ২৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন আসিফ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন অধিনায়ক বাবর আজম। এর আগে নির্ধারিত ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রানের সংগ্রহ গড়েছিল আফগানরা।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ফেরেন মাত্র ৮ রান করে। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে আরেক ওপেনার বাবরের সঙ্গে ৬৩ রানের জুটি গড়েন ফখর জামান। ২৫ বলে ৩০ রান করা এই ব্যাটসম্যানকে ফেরান মোহাম্মদ নবী। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে এসে রশিদ খানের গুললি উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ হন মোহাম্মদ হাফিজ (১০)।
অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান শোয়েব মালিককে নিয়ে ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন বাবর আজম। বিশ্বকাপে এটি তার দ্বিতীয় ফিফটি। এরপরই ফেরেন তিনি। দলের বিপদের সময় মালিকেও ফেরান নাবিন উল হক। শেষ দিকে ক্রিজে এসে ঝড়ো ব্যাটে ৭ বলে ২৪ রান তুলে ৬ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করেন আসিফ।
এর আগে, পাকিস্তানের বিপক্ষে দেখেশুনে খেলার বিপরীতে হার্ড হিটিং আক্রমণে যায় আফগানিস্তান। রান ঠিকই এসেছে কিন্তু পাওয়ার প্লেতেই চার উইকেট হারায় তারা। এরপর করিম জানাত ও নাজিবুল্লাহ জাদরানের ২৫ রানের জুটিও ভাঙেন ওয়াসিম। ১৭ বলে ১৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন করিম।
দলীয় ৭৬ রানের মাথায় নাজিবুল্লাহ জর্দানকে সাজঘরে ফেরান সাদাব খান। ২১ বলে ২২ করে কট বিহাইন্ড হন তিনি। শেষের দিকে অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী ও গুলবাদিন নাইবের ৭০ রানের ঝড়ো জুটিতে ১৪৭ রানের সংগ্রহ পায় আফগানরা। ব্যাট হাতে ২৫ বলে ৩৫ করেন গুলবাদিন। একই সংখ্যক রান করে অন্যপ্রান্তে অপরাজিত ছিলেন নবী।